মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, সিনিয়র নিজস্ব প্রতিবেদক:- জগন্নাথপুরে মোট ৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হিসেবে সনাক্ত হয়েছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টার ও কোয়ারেন্টাইনে ভর্তি ছিলেন। নির্ধারিত সময় শেষে এই ৬ জন এর মধ্যে এক সাথে ৩ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁরা সুস্থ্য হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ও আনন্দ-উল্লাস বইছে। এতে কমছে করোনা আতঙ্ক। বাড়ছে মানুষের মনোবল ক্ষমতা। তবে করোনা মুক্ত হয়নি। তাই সবাইকে করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় ও সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। মরনব্যাধী করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফেরা ভাগ্যবানরা হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী আবু সাইদ। তিনি জগন্নাথপুর হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি ছিলেন। অপর জন উপজেলার উত্তর নাদামপুর গ্রামের লিমন মিয়া। তিনি সিলেট শহীদ সামসুদ্দিন হাসপাতাল আইসোলেশনে ছিলেন। এছাড়া উপজেলার দাস নোয়াগাঁও গ্রামের রাহুল দাস। তিনি স্থানীয় একটি স্কুল কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
১৪ মে বৃহস্পতিবার করোনা থেকে সুস্থ্য হওয়াদের মধ্যে জগন্নাথপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী আবু সাইদকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ ও করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধর। এতে বক্তারা বলেন ৬ জনের মধ্যে ৩ জন সুস্থ্য হওয়ায় আমাদের মনোবল বেড়েছে। তবে করোনা মুক্ত নয়। অবশ্যই সামাজিক দুরত্ব সহ সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। এতে অনুভূতি ব্যক্ত করে সুস্থ্য হওয়া স্বাস্থ্যকর্মী আবু সাইদ বলেন, ভয় বা আতঙ্কের কারণ নেই। আমি শুধু মনোবল রেখেই সুস্থ্য হয়ে ফিরেছি। এ সময় অন্যান্য ডাক্তার-নার্স, পুলিশ ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জামাল/এস/এস
More News Of This Category