মো :কুতুব উদ্দিন:- বিশিষ্ট আলিমে দ্বীন, শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)’র সুযোগ্য ছাহেবজাদা আল্লামা মুফতী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, বিশেষ কারণে কোনো কোনো মাস বরকতময় হয়। যেমন শবে কদরের কারণে রমদান মাস বরকতময়। অনুরূপভাবে রাসূলেপাক (সা.)-এর জন্মের কারণে রবিউল আউয়াল মাস বরকতময়। তাঁর মাতৃগর্ভে তাশরীফ আনার রাত হিসেবে জুমআর রাত বরকতময়। ইমাম আহমদ (র.) রাসূলে পাক (সা.)-এর মাতৃগর্ভে তাশরীফ আনার রাত হিসেবে জুমআর রাতকে শবে কদরের উপর স্থান দিয়েছেন। রাসূলে পাক (সা.)-এর সংশ্লিষ্ট সবকিছু বরকতময় ও শ্রেষ্ঠ।
তিনি চল্লিশ বছর বয়স থেকে নবী নন বরং বরং সৃষ্টির শুরু থেকে নবী। জন্ম, বংশ মর্যাদা ও ব্যক্তিসত্ত্বা সব দিক থেকে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁর এ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি বিশ্বাস রাখা ঈমানের অঙ্গ। এর প্রতি কটাক্ষ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি পবিত্র কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, নবী করীম (সা.) আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশ মুতাবিক তাঁর উপর আল্লাহ প্রদত্ত সকল নেয়ামত বর্ণনা করে গেছেন। মুমিনদের জন্য এ নিয়ামতের আলোচনা করাও উচিত। যুগশ্রেষ্ঠ উলামা মুহাদ্দিসীন প্রিয়নবীর মীলাদ ও তাঁর সুমহান মর্যাদার কথা আলোচনা করে গেছেন। তিনি শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.)-এ বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যুগ যুগ ধরে মুসলমানগণ সর্বদা রাসূল (সা.)-এর জন্মের মাসে মাহফিলে মীলাদুন্নবী করে আসছেন। মাহফিলে মীলাদের সাথে তারা সুস্বাদু খাবার পাকাতেন, রবিউল আউয়ালের রাতসমূহে বিভিন্ন ধরনের দান-খয়রাত করতেন, আনন্দ প্রকাশ করতেন, অধিক নেক আমল করতেন, নবী করীম (সা.) এর জন্ম বৃত্তান্ত পাঠ করতেন। সুতরাং হিংসা কিংবা অজ্ঞতাবশত এসবের বিরোধিতা করা উচিত নয়। তিনি গত শুক্রবার (১লা ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র উদ্যোগে সিলেট রেজিস্ট্্রারি মাঠে অনুষ্ঠিত মাহফিলে মীলাদুন্নবীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংগঠনের মাহফিলে মীলাদুন্নবী বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা ও মাওলানা বেলাল আহমদের যৌথ পরিচালনায় মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওয়ার আহমদ প্রমূখ।