,
শিরোনাম
মাও: এমদাদুর রহমান (রহ:) মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর উদ্যোগে জননেতা আশরাফুল ইসলামের অর্থায়নে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে দরিদ্র হতদরিদ্র দুই শতাধীক পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরন মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রেড ব্লাড সিলেট এর  শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ নিউইয়রকে ইউএস বাংলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের অভিষেক সম্পন্ন : সভাপতি মাহফুজ আদনান, সাধারন সম্পাদক আবু সাদেক রনি ‘রেড ব্লাড সিলেট’র উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুর উপজেলায় রেল সংযোগ প্রসঙ্গে জগন্নাথপুরের কলকলিয়ায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ সাদেক ইন্টারন্যশনাল একাডেমির বই উৎসব জগন্নাথপুরে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ সাদেক ইন্টারন্যশনাল একাডেমির শুভ উদ্বোধন সিলেটে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার লন্ডন-আমেরিকার মহব্বতের দরকার নেই : জগন্নাথপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী পাগলা-জগন্নাথপুর সড়কে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষ : নিহত ১

জগন্নাথপুরে সহকারী প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

মো: হুমায়ুন কবীর ফরীদি# জগন্নাথপুরের ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্বাছ আলীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠার পরও স্বপদে বহাল থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কেউই চান না তবুও একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করে স্বপদে বহাল রয়েছেন শিক্ষক আব্বাছ আলী । এমনই এক অভিযোগের কথা জানালেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক মহল ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ২০১৪ সালের ১০ জুন ইসহাকপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান জামালগঞ্জ উপজেলার হরিনাকান্দি গ্রামের মৃত মিরাশ আলীর ছেলে আব্বাছ আলী। নিয়োগের পর থেকেই ওই শিক্ষক এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক বেত্রাঘাত, ছাত্রীদের গায়ে হাত, মানসিক হয়রানী, প্রাইভেট পড়ার জন্য উৎসাহিত করা, সামর্থহীনদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ এবং পরীক্ষায় দেখে নেয়ার মতো হুমকি সহ একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে।
তারই প্রেক্ষীতে গত ১৬ মে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক আব্দুজ জাহের ও ম্যানেজিং কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর ও শিক্ষক আব্বাছ আলী নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ডা. সোনাহর আলী, বর্তমান সভাপতি বদরুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আব্দুজ জাহের কর্তৃক একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তিনি কর্নপাত না করে বিতর্কিত কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে একাধিক ব্যাক্তি জানান। পরবর্তীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পর পর তিনটি কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে বিতর্কিত শিক্ষক আব্বাছ আলীকে। কিন্তু নোটিশের জবাব না দিয়ে বরাবরের ন্যায় বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে এড়িয়ে চলেন শিক্ষক আব্বাছ আলী। তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নিতে পারছেনা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি শিক্ষা অফিস পর্যন্ত গড়ালেও কোন কাজ হয়নি। এদিকে বিতর্কিত শিক্ষক আব্বাছ আলীকে বিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে ও বিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আহবান জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। সবার মুখে একটাই কথা, যে শিক্ষক আমাদের এই সনামধন্য বিদ্যাপীঠের সুনাম বিনষ্ট করছেন তাকে প্রতিহত করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। স্ব-সম্মানে বিদ্যালয় থেকে ওই শিক্ষক বিদায় না নিলে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। একর পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক মহল ও ম্যানিজিং কমিটি থেকেও প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও স্বপদে রয়েছেন বহাল তিনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুজ জাহের বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ডা. সোনাহর আলীর সময়কালেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে। তখনও তাকে কয়েকবার সতর্ক করা হয় কিন্তু পরিবর্তন আসেনি। গত ১৬ মে শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা পেলে তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে। কিন্তু নোটিশের উপযুক্ত জবাব না দিয়ে সে মনগড়া জবাব দিয়ে বিদ্যালয়ে অদ্যাবধি অনুপস্থিত রয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বদরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাই। পরবর্তিতে তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্বাছ আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৃক নিউজ২৪ ডটকমকে বলেন, আমার ওপর যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তার সঠিক জবাব আমি দিয়েছি। তবে আমাকে স্কুলে যেতে দেওয়া হয় না বলে আমি আমার এলাকায় অবস্থান করছি। এ ব্যাপরে জগন্নাথপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুখলেছুর রহমান বলেন, এখানে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। যদি ওই শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।

     More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

 

 

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ভোর ৪:২৮
  • দুপুর ১২:০৩
  • বিকাল ৪:৩০
  • সন্ধ্যা ৬:২২
  • রাত ৭:৩৭
  • ভোর ৫:৪১