নিজস্ব প্রতিবেদক:- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৭টি ইউনিয়নেই নৌকার প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনায় পিছিয়ে রয়েছেন। সচেতন সমাজ মনে করছেন সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জের মত জগন্নাথপুরেও হতে পারে নৌকার ভরাডুবি।
নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ বিদ্রোহীরা (স্বতন্ত্র) এবং বিনপির পরোক্ষ (স্বতন্ত্র) প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের অবস্থা যেন লেজে গোবরে।
গোপন সুত্রে জানা যায়, প্রচার প্রচারনায় নেতাকর্মীরা সামনের সারিতে থাকলেও পচন্দের প্রার্থী না পাওয়ায় বিভক্ত হয়ে পরেছেন কর্মীরা। নেতা কর্মীদের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকার ফলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ জগন্নাথপুরের ৭টি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ভাড়লেও পরোক্ষ ভাবে চলছে বিভক্তির আলোচনা সমালোচনা।
সরজমিনে দেখা যায় অনেক ভোটার নৌকার সর্মতক ও আওয়ামীলীগের একনিষ্ট কর্মী তাকলেও এবারের ভোট নৌকায় দিতে ইচ্ছুক নন। আওয়ামীলীগের একজন বায়জৈষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এলকার অনেক সৎ নিষ্ঠাবান যোগ্য ব্যাক্তি থাকার পরও নৌকার মননোয়ন দেওয়া হয়েছে দূর্ণীতিবাজকে যা স্থানীয়রা মেনে নিতে পারছেন না তাই শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা ছেয়ে নিয়েছেন যে উন্নয়নের স্বার্থে এবারের ভোটটি নৌকায় দিতে পারছেন না।
তবে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় কেউ বলছে, ফেনি স্টাইলের নির্বাচন আবার কেউ কেউ স্বপ্ন দেখছেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের। নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন ভোটারদের আশ্বস্ত করছেন নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে বিকেল থেকে মধ্যেরাত পর্যন্ত নৌকা, আনারস, চশমা, ঘোড়া মার্কার সহ সকল প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা সমানতালে।
বিদ্রোহী স্বতন্ত্র অনেক প্রার্থী জানান, নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চায়। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ থাকে আশা করি, ২৬ ডিসেম্বর সুন্দর নির্বাচন হবে।
উপজেলা নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমান, জগন্নাথ উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী ( এলজিইডি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ গোলাম সারোয়ার, জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, ব্যালটের মাধ্যেমে শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য আমরা কাজ করছি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৭ জন, মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৩৪ জন এবং মহিলা সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮৯ জন।
জামাল/এস/এস
More News Of This Category